সোমবার, ৪ঠা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নতুন সংবিধান রচনার ঘোষণা এনসিপির *** জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে ৮ জনের নাম বাদ *** বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি *** স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন সভাপতির চিঠি *** বৃষ্টি উপেক্ষা করে সিডনিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে লাখো মানুষ *** এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা *** তিন দশকের রাজনীতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই শক্তিশালী নারী: মাহফুজ আনাম *** সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন *** তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

ডেঙ্গু পাল্টে দিলো সব হিসাব-নিকাশ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৩৮ অপরাহ্ন, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ডেঙ্গু ছিল মূলত বর্ষাকালীন রোগ। বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশি থাকতো এ রোগের প্রকোপ। চলতি বছর পাল্টে গেছে অতীতের সব হিসাব-নিকাশ। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে এরই মধ্যে গড়েছে রেকর্ড। ডেঙ্গুতে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা হার মানাচ্ছে করোনাকেও। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন এবার ডেঙ্গুর মৌসুম দীর্ঘ হয়ে শীতকাল পর্যন্ত থাকবে। আর সরকারের জরিপ বলছে, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে গত বছরের দ্বিগুণ। লার্ভা মিলছে ফ্রিজের ট্রের পানি কিংবা প্লেটের পানি ঝরানোর র‌্যাকের নিচে পর্যন্ত।

গত ২৫ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর দুই সিটিতে মশার ঘনত্ব নিয়ে বর্ষাকালীন জরিপ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের এ জরিপে দেখা যায়, ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ (৭৫ শতাংশ) এলাকায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬০ শতাংশ ঘনত্ব পাওয়া গেছে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে (তেজগাঁও শিল্প এলাকা-বেগুনবাড়ি-তেজকুনিপাড়া)। ৪৯ শতাংশ ঘনত্ব পাওয়া গেছে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (পল্লবী ও মিরপুরের কিছু অংশ)। দক্ষিণ সিটির ১৯ শতাংশ এলাকায় মশার লার্ভার ঘনত্ব ২০-এর বেশি। সর্বোচ্চ লার্ভার ঘনত্ব ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে (কাকরাইল-সিদ্ধেশ্বরী-পশ্চিম মালিবাগ) ৭৩ শতাংশ। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে (সেগুনবাগিচা-গুলিস্তান-প্রেস ক্লাব-ঢাকা মেডিকেল এলাকা) ৭০ শতাংশ।

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের দশটি জেলা ও ঢাকার দশটি থানায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। যেগুলোকে ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে ঢাকায় রোগী শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৭৪, বরিশালে ৪ দশমিক ২৬, পটুয়াখালীতে ২ দশমিক ৪৯, লক্ষ্মীপুরে ১ দশমিক ৯৯, পিরোজপুরে ১ দশমিক ৯০, চাঁদপুরে ১ দশমিক ৮৫, মানিকগঞ্জে ১ দশমিক ৮২, কুমিল্লায় ১ দশমিক ৭৫ ও ফরিদপুরে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে রাজধানীর মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ০৮ শতাংশ, সবুজবাগে ১২ দশমিক ৮৭, কদমতলীতে ৮ দশমিক ২৯, মোহাম্মদপুরে ৪ দশমিক ০৩, খিলগাঁওয়ে ৩ দশমিক ৭২, কেরানীগঞ্জে ৩ দশমিক ৭১, উত্তরায় ২ দশমিক ৯২, ধানমন্ডিতে ২ দশমিক ৬৭ এবং পল্লবীতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এবার ডেঙ্গু সংক্রমণ সহজে কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই ডেঙ্গুর লার্ভা অনেক বেশি পাওয়া গেছে। ব্রুটো ইনডেক্স (বিআই) মানদণ্ডে যা অনেক বেশি। খুব তাড়াতাড়ি এই সংক্রমণ কমবে না। শীতকালেও এবার ডেঙ্গু খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি ও রোগী কমলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কখন এই সংক্রমণ কমবে তাও বলা যাচ্ছে না।

আর.এইচ

ডেঙ্গু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন